রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার নবম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবকে। তিনি দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ইউএমএনও (ইউনাইটেড মালয়েজ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন)-এর নেতা। আজ শুক্রবার (২০ আগস্ট) মালয়েশিয়ার রাজা আল সুলতান আব্দুল্লাহ তাকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে নিয়োগ দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গত ১৬ আগস্ট রাজার কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিদ্দিন ইয়াসিন। পদত্যাগের ফলে তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভারও পতন ঘটে। ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব ছিলেন সাবেক সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী। ইয়াং ডি-পার্টুয়ান আগং সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমদ শাহ তার নিয়োগের কথা আজ শুক্রবার রাজকীয় পরিবারের নিয়ন্ত্রক আহমদ ফাদিল শামসুদ্দিন বিবৃতিতে জানিয়েছেন। আগামীকাল শনিবার দুপুর আড়াইটায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। ইসমাইল এর আগে বারিসান ন্যাশনালের শাসনামলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি আবদুল্লাহ আহমদ বাদাবীর অধীনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং এক বছর পরে নজিব রাজাকের অধীনে তাকে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য, সমবায় এবং ভোগবাদ মন্ত্রী করা হয়। ২০১৫ সালে গ্রামীণ ও আঞ্চলিক উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে ২০১৩ সালে তাকে কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পমন্ত্রী করা হয়েছিল। বিবৃতিতে ফাদিল নিশ্চিত করেছেন, ইসমাইলের ১১৪ জন সাংসদের সমর্থন ছিল, যা তাকে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছিল এবং যোগ করেছিল যে তাদের ১১৪ জনই তাদের সমর্থন নিশ্চিত করেছে। ২০২০ সালে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট দেওয়ান রাকাইয়েতের সদস্যদের ভোটে জিতে দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছিলেন মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক দল মালয়েশিয়ান ইউনাইটেড ইনডিজেনাস পার্টির (এমইউআইপি) নেতা মুহিদ্দিন ইয়াসিন। তবে তার পক্ষে ও বিপক্ষে পড়া ভোটের ব্যাবধান ছিল একদমই অল্প। ফলে, নিজের পদ ধরে রাখার ব্যাপারে সারাক্ষণ চাপে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেই চাপ আরও বেড়ে যায় তার দলের কয়েকজন আইন প্রণেতা বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম শরিক ও মালয়েশিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনে (ইউএমএনও) যোগ দেওয়ার পর। ইউএমএনও বরাবরই অভিযোগ করে আসছিল, আস্থাভোটে কারচুপির মাধ্যমে মুহিদ্দিন ইয়াসিন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ইসমাইল সাবরি ইয়াকোবের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ায় জোট সরকারে অবস্থান আরও দৃঢ় হলো মালয়েশিয়ার বৃহত্তম দলটির। সূত্র: রয়টার্স।